Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ এপ্রিল ২০১৬

শিশুরা পথে জন্মায় না, সমাজ তাদেরকে পথ শিশু হিসাবে তৈরী করে- মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়


প্রকাশন তারিখ : 2016-04-28

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, পথ শিশু বলে কিছু নেই। পথে কোন শিশু জন্মানোর কারনে সে পথ শিশু হয় না, সমাজ তাদেরকে পথ শিশু বানায়। দারিদ্রতা, বাবা মায়ের বিচ্ছেদ, বাবা মা মারা যাওয়া বা বাবা মায়ের অসচেতনতা অথবা অর্থলোভী কিছু মাদক ব্যবসায়ীর কারনে এখন কিছু শিশু পথে দিন কাটায়। শিশুদেরকে দিয়ে কোন রকমের অসামাজিক কার্য সম্পাদনের বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে তিনি আহবান জানান। তিনি আজ রাজধানীর কমলাপুরে পথ শিশুদের পুনর্বাসন কেন্দ্র উদ্বোধন ও এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি’র সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক গাজী মোহাম্মদ নূরম্নল কবির, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আমির হোসেন, রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি এস এম রম্নহুল আমিন প্রমূখ। এই সময় উপস্থিত ছিলেন কিছু পথ শিশু, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ ও এনজিও প্রতিনিধি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শিশুর ঠিকানা পথে নয়, সরকার সব পথ শিশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবে। প্রতিমন্ত্রী পথশিশুদের পরিচয় ও তাদের পিতামাতাকে খুঁজে বের করে তাদের পরিবারকে স্বাবলম্বী করার পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশিস্নষ্টদের নির্দেশ দেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন, দারিদ্রতা শিশুদেরকে পথে নিয়ে আসে। সরকার দারিদ্রতা দূর করার জন্য সমন্বীত দরিদ্র দূরীকরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন এই সমস্যা সমাধানে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ জরম্নরী।

উলেস্নখ্য, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পথ শিশুদের পুনর্বাসন করার জন্য পথ শিশু পুনর্বাসন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রাথমিকভাকে ঢাকা শহরের দুইটি জায়গা, যে দুইটি জায়গায় পথশিশুর সংখ্যা বেশী, কাওরান বাজার ও কলাপুরকে পাইলটিং করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কার্যক্রম পরিচালক ড. আবুল হোসেন একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। প্রেজেন্টেশনে তিনি বলেন কমলাপুরের পথশিশুদের প্রায় ৫৩ শতাংশ ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী এবং প্রায় ৮৩ শতাংশ পথশিশু তারা তাদের খাবার নিজেরাই সংগ্রহ করে। তাদের ৬০ শতাংশ মাদক নেয় এবং প্রায় ৮০ শতাংশ পথশিশু যথাযথভাবে টয়লেট ব্যবস্থা নেয় না। তিনি আরও বলেন এই কার্যক্রমের মাধ্যমে পথশশুদের পুনর্বাসন, মটিভেশন, কাউন্সিল এবং শিক্ষা ব্যবস্থা করা হবে। ইতোমধ্যে ২২, কমলাপুর বাজার রোডের রাজ্জাক টাওয়ারে পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

 

 

 

        (মোহাম্মদ আবুল খায়ের)

জনসংযোগ কর্মকর্তা

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮