Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd জুন ২০১৫

বাল্য বিবাহ নারীর ক্ষমতায়নের প্রধান অন্তরায় - মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়


প্রকাশন তারিখ : 2015-06-23

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, নারীর ড়্গমতায়ন বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার এবং বাল্য বিবাহ নারীর ড়্গমতায়নের প্রধান অনত্মরায়। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে একটি ভাল আইন বিদ্যামান থাকলেও বাংলাদেশে ৬৪ শতাংশ মেয়ের ১৮ বৎসর হওয়ার আগে বিয়ে হয়ে যায়। এটি জাতীয় জীবনের একটি বড় সমস্যা। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীর যথাযথ উন্নয়ন না হলে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাল্য বিবাহ নারী উন্নয়নের অনত্মরায়। সরকার বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে অঙ্গীকারাবদ্ধ। প্রতিমন্ত্রী বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছরের নিচে বিবাহের সংখ্যা শুন্যে এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে ১৮ বৎসরের নিচে বিয়ের সংখ্যা শুন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন। এই লড়্গে অর্জন সরকার বাল্যবিবাহের কারন সমূহ চিহ্নিত করেছে এবং ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি আজ রাজধানীর গুলশানে স্পেক্টা কনভেনশন সেন্টারে বিবাহিত শিশুদের শিশু অধিকার রড়্গা বিষয়ক একটি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের যৌন ও প্রজনন ¯^v¯’¨ এবং অধিকার বিষয়ক সচিব এলা দে ভুগড ইনপুট (Ella De Voogd) সেশনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রধান সুলতানা কামাল, ¯^v¯’¨ সচিব সৈয়দ মনজুুুরম্নল ইসলাম, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার মারটিন ভান হুগস্ট্রাটেন (Marline Van Hoogstraten), রেড অরেঞ্জের মিডিয়া এ্যান্ড কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্ণব চক্রবর্তী।

উলেস্নখ্য ইমেজ নেদারল্যান্ডসের অর্থায়নে, যৌথভাবে টেরে ডেস হোমস নেদারল্যান্ডস ও রেড অরেঞ্জের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাসত্মবায়িত হবে। গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী-এ তিন জেলায় মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প বাসত্মবায়নে কাজ করবে টেরে ডেস হোমস লোসান, এসকেএস ফাউন্ডেশন এবং পলস্নীশ্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দারিদ্রতা বাল্য বিবাহের অন্যতম কারন। তাছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা, অশিড়্গা এবং গতানুগতিক মানসিকতা বাল্য বিবাহের জন্য দায়ী। সরকার এই প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে কাজ করছে। সফলও হচ্ছে। ইতোমধ্যে দারিদ্রতা ৩১ ভাগ নামিয়ে আনা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে ছেলে ও মেয়ের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় সমান। এরই dj¯^iƒc বাল্য বিবাহের প্রবণতা কমছে। শতভাগ সফল হওয়ার জন্য প্রতিমন্ত্রী এনজিও এবং গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন সরকার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে বিয়ের নূন্যতম বয়স ১৮ই থাকবে।

প্রতিমন্ত্র বলেন, সকল চেষ্টার পরেও বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুর বিয়ে হচ্ছে- এটাও বাসত্মব। যে শিশুদের ইতোমধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে তাদের ¯^v¯’¨ পুষ্টি ও প্রজনন ¯^v‡¯’¨i দিকে বিশেষ গুরম্নত্ব দিতে হবে। আর এই বিষয়ে নেদারল্যান্ডের অর্থায়নে ইমেজ (ইনিশিয়েটিভস ফর ম্যারিড অ্যাডোলোসেন্ট গার্লস এম্পাওয়ারমেন্ট) প্রকল্প গুরম্নত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ¯^v¯’¨ সচিব বলেন, শিশু ¯^v¯’¨ ও মাতৃ ¯^‡¯’¨i উন্নয়নে সরকার প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। প্রতিটি মানুষের ¯^v¯’¨ সেবা বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ¯^v¯’¨ সেবা নিশ্চিতে প্রতিটি গ্রামে কমিউনিটি হাসপাতাল স্থাপন করেছে সরকার।