Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ জুন ২০২২

সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান" শীর্ষক নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন


প্রকাশন তারিখ : 2022-06-12

“প্রারম্ভিক যত্নের মাধ্যমে শিশুদের বিকাশ, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত এবং মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব” প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

 

ঢাকা, ১২ জুন ২০২২:

 

শিশুদের  সমন্বিত ইসিডি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২৭১ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে "সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান" প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল মেয়াদে বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের শতকরা ৮০ ভাগ অর্থায়ন (২১৭ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা) করবে বাংলাদেশ সরকার ও ২০ ভাগ অর্থায়ন (৫৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা) করবে ব্লুমবার্গ পিলানথ্রোপিজ। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি দেশের ১৬ টি জেলায় ৪৫ টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। এ প্রকল্পের আওতায় এক থেকে পাঁচবছর বয়সী দুই লাখ শিশুর জন্য প্রকল্প এলাকায় আট হাজার সমাজভিত্তিক শিশু-যত্ন কেন্দ্র স্থাপন এবং এক হাজার ছয়শত স্থানে ছয় থেকে দশ বছর বয়সী তিন লাখ ষাট হাজার শিশুকে সাঁতার শেখানো হবে।

 

প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা এবং যত্ন প্রদান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শিশুর সার্বিক বিকাশ, নিরাপত্তা, সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনা’।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমন্বিত ইসিসিডি সেবা প্রদান জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ এবং পানিতে ডুবে যাওয়াসহ শৈশবকালীন আঘাত হতে শিশুদের রক্ষার জন্য ইতিবাচক প্যারেন্টিং বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন করা হবে। গ্রামীণ জনপদে কেন্দ্রভিত্তিক শিশুদের সার্বিক বিকাশসহ জীবন দক্ষতামূলক সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। শিশুর বিকাশের কাজটি একটি ক্রস-কাটিং ইস্যু। এ জন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, কারিগরি ও বাস্তবায়নকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে, যা এসডিজি লক্ষ্য পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যূ হার কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে।

 

আজ ঢাকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। আরো উপস্থিত ছিলেন ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিজের পরিচালক কেলি লারসন ( Kelly Larson), ব্রাক আইডি’র নির্বাহী পরিচালক ড ইরাম মরিয়ম, বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্কের সহসভাপতি মাহমুদা আক্তার ও সিআইপিআর’বি উপ নির্বাহী পরিচালক ড. আমিনুর রহমান।

 

বিশেষ অতিথির বক্তিতায় সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, শিশু সুরক্ষা ও সার্বিক বিকাশে এই প্রকল্পটি একাধিক খাতকে একসাথে সমন্বয়ের সুযোগ সৃস্টি করবে। যা সামগ্রিকভাবে শিশু বিকাশের ধারনায় আমূল পরিবর্তন বয়ে আনতে সক্ষম হবে।