Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ জুন ২০১৬

এসডিজি অর্জনে নারী ও শিশুর সামগ্রীক উন্নয়ন জরুরী - মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়


প্রকাশন তারিখ : 2016-06-07

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, জাতিসংঘ ঘোষিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনে সরকারের পাশাপাশি আমত্মর্জাতিক সংস্থা, দেশীয় এনজিও’র সক্রিয় অংশগ্রহণ জরম্নরী। তিনি বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসডিজি-৫: জেন্ডার ইক্যুইটি অর্জনসহ আরো যে সমসত্ম লক্ষ্যমাত্রার সাথে নারী ও শিশু জড়িত তা অর্জনে ইতিমধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছে। এমডিজি অর্জনের সফলতার মতোই বাংলাদেশ এসডিজি অর্জনে স্টার এ পারফরমার হবে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নারী ও শিশুর সামগ্রীক উন্নয়ন ছাড়া এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়।

 

তিনি আজ রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাসত্মবায়নের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রামত্ম এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  একথা বলেন।

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি’র সভাপতিত্বে উক্ত কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সচিব ও সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্তারি মমতাজ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণায়ের সচিব সামসুন্নাহার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জোয়েনা আজিজ ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম নেছার উদ্দিন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাসত্মবায়িত নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের পরিচালক ড. আবুল হোসেন প্রমূখ । স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদা শারমীন বেনু।

 

নাছিমা বেগম এনডিসি তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি অর্জনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সংশিস্নষ্ট অন্যান্য সকল মন্ত্রণালয়ের জোড়ালো অংশগ্রহণ জরম্নরী। তিনি আরো বলেন, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই বাংলাদেশ ইনশাআলস্নাহ এসডিজি’র সবগুলির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে।

 

কর্মশালায় ড. শামসুল আলম বলেন, এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে প্রসংসিত হয়েছে এবং এমডিজি-তে সফল ১৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ ৮টি পুরস্কার অর্জন করেছে। দারিদ্র বিমুচনসহ এমডিজি’র প্রায় সকল লক্ষমাত্রা অর্জনই বাংলাদেশের অর্জন সমেত্মাষজনক।

শামসুন্নাহার বলেন, এসডিজি ৫ঃ জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি অর্জনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সার্বিক সহযোগিতা করবে প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তিনি আরো জানান, বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৪ লক্ষ নারী কর্মরত আছে।

 

আক্তারী মমতাজ বলেন, আমরা যদি মুক্ত বুদ্ধি এবং মুক্ত চিমত্মার পরিবেশ নিশ্চিত না করতে পারি তাহলে আমাদের সকল অর্জনই ব্যর্থ হয়ে যাবে এবং বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের প্রসার লাভ করবে।

ড. আবুল হোসেন তার উপস্থাপনায় বলেন, এমডিজি-তে পরিমানগত উন্নয়নে বেশী জোড় দেয়া হয়েছিল, কিন্তু এসডিজি-তে পরিমান ও গুণগত উভয় রকম উন্নয়নের দিকে গুরম্নত্ব দেয়া হয়েছে।

 

উলেস্নখ্য, এসডিজি অর্জনে সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০৩০ সাল পর্যমত্ম। এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭টি এবং টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৯টি। উলেস্নখিত সময়ে ১৬৯টি টার্গেট এবং ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ বর্তমানে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সরাসরি এসডিজি-৫ বাসত্মবায়নে লীড মিনিস্ট্রি। তাছাড়া আরো ১১টি লক্ষ্যমাত্রা বাসত্মবায়নে মন্ত্রণালয় আংশিকভাবে সংশিস্নষ্ট। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসডিজি-৫ সহ অন্য লক্ষ্যমাত্রা বাসত্মবায়নে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য আজকের এই পরামর্শ সভার আয়োজন করে।

 

           (মোহাম্মদ আবুল খায়ের)

জনসংযোগ কর্মকর্তা

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮