মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি বলেছেন, বাল্য বিবাহ নারী অধিকার বাস্তবায়নে প্রধানতম অন্তরায়। সরকার দেশকে বাল্য বিবাহ মুক্ত করতে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহন করেছে। ইতোমধ্যে সরকার বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন সংসদে পাশ করেছে। এ আইনের মাধ্যমে বাল্য বিবাহে জড়িত ছেলে-মেয়ে, পিতা-মাতা, বিবাহ রেজিস্ট্রারদের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে এবং বয়স প্রমানের জন্য জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোন এফিডেভিট গ্রহন করা হবে না। প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসী ফোরাম আয়োজিত এক র্যালিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি কথা বলেন। র্যালিটি শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর থেকে শুরম্ন হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট এ শেষ হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে এবং মেয়েদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা ও করা হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রায় ২ কোটি নারীকে ১৮টি ট্রেডে বিনা খরচে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। তাছাড়া বাল্য বিবাহ, যৌতুক, প্রজনন স্বাস্থ্য, সম-অধিকার সহ সচেতনতা জন্য বিভিন ইস্যুতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
র্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসী ফোরামের আহবায়ক এবং সুজনের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার, জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসী ফোরামের সেক্রেটারি নাসিমা আক্তার জলি প্রমুখ।
(মোহাম্মদ আবুল খায়ের)
জনসংযোগ কর্মকর্তা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮।