ঢাকা, ২৩ আগস্ট, ২০১৭
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি বলেছেন, কন্যা শিশুরা দুর্যোগ ও বন্যায় সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে আছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কন্যা শিশুরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে অথবা নিজ গৃহে অনেক সময় যৌন নির্যাতনের শিকার হয় । এই বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি আজ সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ওয়ার্ল্ড ভিশন , ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতি ও অভিজ্ঞতা বিষয়ক কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পিকে এসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে কনভেনশনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির , বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষনার সিনিয়র রিচার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রুরাল ডেভেলপমেন্টের টিম লিডার ডোরসে ভোসে , খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারন সম্মাদক মহলিন আলী প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন দরিদ্র বিমোচন এই সরকারের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য। এই জন্য সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি কার্যক্রম জোরদার করেছে। এই খাতে সরকারের ব্যায় ৫৪০০০ কোটি টাকা । যা বাজেটের ১৩ শতাংশ। তিনি বলেন কোন সম্প্রদায় ও দলের লোককে পিছিয়ে রাখলে দেশ দরিদ্র মুক্ত যাবেনা । সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগী নির্বাচনে সকলকে সমান দৃষ্টিতে দেখতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন সুবিধাভোগী নির্বাচনে অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছে । পক্ষান্তরে অনেক পরিবারের কেউই কোন সুবিধা পাচ্ছেনা । এই বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আরও সচেতন হতে হবে এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এই সমস্যা সমাধানে সরকার একটি ডাটাবেজ তৈরির কাজ করছে। কানভেনশনে নিম্নলিখিত দাবি সমূহ উত্থাপিত হয়।
১. ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের মধ্যে অতিদরিদ্র ডাটাবেজ সম্পন্ন করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগীদের স্বচ্ছ তালিকা করা;
২. প্রকল্প এলাকায় উপকারভোগী নির্বাচনে অনিয়মের ক্ষেত্রে ইউপি‘তে ‘অভিযোগ/পরামর্শ বক্স’ স্থাপন করা । ৩. ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্দিষ্ট স্থানে উপকারভোগীদের তালিকা প্রদর্শনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ;
৪. সকল কর্মসূচির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া মনিটরিং নিশ্চিত করা;
৫. ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগীদের (দুঃস্থ নারীদের ) আর্থ-সমাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে চলমান সহয়তার পাশাপাশি আয়বর্ধক কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহয়তা করা ;
৬. অন্তর্ভূক্তিমুলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সমতল এলাকায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহন করা;
৭. বিদ্যমান নীতিমালায় স্থানীয় পর্যায় কমিটিতে (ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়) উপকারভোগীদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি রাখার বিধান করা।
( মোহাম্মদ আবুল খায়ের )
জনসংযোগ কর্মকর্তা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮