Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দেশকে বাল্য বিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে জিও-এনজিও’র সহযোগিতা খুবই জরুরী - মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়


প্রকাশন তারিখ : 2017-02-08

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, দেশকে বাল্য বিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। ইতিমধ্যে এই সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি প্রণয়ন, পরিবর্তন ও সংযোজন করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি ও এনজিও কর্মীবৃন্দের মধ্যে এই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতা তৈরী হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেলে আমরা বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে পারি। কিন্তু এখানে থেমে থাকলেই চলবে না। আমাদেরকে সমস্যার মূলে যেতে হবে। দেখতে হবে পরিবারটি কেন তার সন্তানকে বাল্য বিবাহ দিয়ে দিচ্ছে। দরিদ্রতা ও অশিক্ষাই বাল্য বিবাহের অন্যতম কারন। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী দারিদ্র দূরিকরণ ও শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি এনজিওদের এগিয়ে আসতে আহবান জানান। তিনি বাল্য বিবাহের মূল কারন দরিদ্রতা দূর করতে সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থাদের আহবান জানান। প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএসএইড এর আর্থিক সহায়তায় প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নে Protecing Human Rights (PHR) প্রকল্পের সমাপনী ও মূল্যায়ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে একথা বলেন।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্ণিকাট (Marcia Bernicat), হিউমেন রাইটস কমিশনের সদস্য নুরুন্নাহার ওসমানী, ইউএসএইড বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর জানিনা জারুজেলিস্কি (Janina Jaruzeliski), বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি সমিতির নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সালমা আলী।

 

নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন, পিএইচআর অত্যন্ত কার্যকর একটি প্রকল্প। তিনি এই ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য ইউএসএইড এর প্রশংসা করেন। অদূর ভবিষ্যতে ইউএসএইড নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ও এই ধরণের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

 

মার্শিয়া বার্ণিকাট বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও আশাব্যঞ্জক। ইতিমধ্যেই সরকারের নানামূখি উদ্যোগের ফলে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা কমেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে যুক্তরাষ্ট্র তার সহযোগিতা অব্যহত রাখবে।

 

উল্লেখ্য, পারিবারিক সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে পিএইচআর প্রোগ্রাম ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশের ৬টি জেলার ৮ উপজেলার ১০২টি ইউনিয়নে কাজ করে। এই ছয় বছরে এই প্রকল্পের অধীন প্রায় ৬০ হাজার মহিলাকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পিএইচআর প্রকল্পে কর্মরত বিভিন্ন সোসাল ওয়ার্কার এবং নির্যাতনের বিভিষিকা থেকে ঘুরে দাড়ানো নারীদের সম্মানে ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠানে পিএইচআর প্রকল্পে কর্মরত সোসাল ওয়ার্কার বা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

 

        (মোহাম্মদ আবুল খায়ের)

জনসংযোগ কর্মকর্তা

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

                                                    ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮